04Jul

দেশে প্রথমবারের মতো বুক না কেটেই পুরোনো ভালভে নতুন ভালভ প্রতিস্থাপন

দেশে প্রথমবারের মতো ট্রান্স ক্যাথেটার অ্যাওটিক ভালভ রিপ্লেসমেন্ট (টিএভিআর) পদ্ধতিতে বুক না কেটে পুরোনো অ্যাওটিক ভালভের ভেতরে নতুন ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১১ সালে বুকে অস্ত্রোপচার করে একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার হৃদ্‌যন্ত্রে অ্যাওটিক ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়। কয়েক মাস ধরে তিনি আবার অসুস্থতা বোধ করেন। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর ভালভ সরু হয়ে যাওয়ায় আবারও তা প্রতিস্থাপন করতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে ওই কর্মকর্তা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার কর্মকারের অধীনে ভর্তি হন। গত রোববার প্রদীপ কুমার কর্মকার ও তাঁর সহকর্মীরা সফলভাবে রোগীর বুকে না কেটে টিএভিআর পদ্ধতিতে পুরোনো অ্যাওটিক ভালভের ভেতরে নতুন ভালভ প্রতিস্থাপন করেন।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা বলছেন, এর মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো টিএভিআর পদ্ধতিতে বুক না কেটে, বুকের হাড় না কেটে পুরোনো ভালভের ভেতর নতুন ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন, টিএভিআর পদ্ধতিতে বুক না কেটে সফলভাবে তুলনামূলক কম খরচে ভালভ প্রতিস্থাপন করা যায়। এই অস্ত্রোপচারে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে, রোগীকে অজ্ঞান করতে হয় না। অস্ত্রোপচারের তিন দিন পরই রোগী বাসায় ফিরতে পারেন।

প্রথমবারের মতো যাঁদের ভালভ প্রতিস্থাপন করতে হয়, তাঁদেরও বুক না কেটে এই পদ্ধতিতে ভালভ প্রতিস্থাপন করা যায়। এর আগে চারজন রোগীকে এই সেবা দেওয়া হয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতিতে আগে ভালভ প্রতিস্থাপন করা রোগীর দেহে নতুন করে ভালভ প্রতিস্থাপন করা হলো।

চিকিৎসকেরা বলেছেন, ১০ থেকে ১৫ বছর আগে যাঁদের বুক কেটে টিস্যু ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল, তাঁদের অনেকের ওই সব ভালভের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে গেছে। এসব রোগীর বেশির ভাগই আবার বুক কেটে অস্ত্রোপচার করতে চান না। সামর্থ্যবানেরা বিদেশে গিয়ে বুক না কেটে টিএভিআর পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করেন। এখন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালেই এই সেবা পাওয়া যাবে।

04Jul

বুক না কেটে অ্যাওটিক ভালভের ভেতর নতুন ভালভ প্রতিস্থাপন

বাংলাদেশে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে প্রথম বারের মতো বুক না কেটে হার্টে ট্রান্স ক্যাথেটার এওর্টিক ভালভ রিপ্লেসমেন্ট (টিএভিআর) পদ্ধতিতে পুরনো অ্যাওটিক ভালভের ভেতর নতুন ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল হাসপাতালটির সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক সফলভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের চিকিৎসক প্রদীপ কুমার ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ৭৫ বছর বয়সী একজন সাবেক সচিব ২০১১ সালে হার্টের অ্যাওটিক ভালভ সরু হওয়ার কারণে বুক কেটে অ্যাওটিক ভালভ প্রতিস্থাপন করেন। পরবর্তীতে গত কয়েক মাস যাবত উনি হাঁটলে শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন এবং সিঁড়ি উঠানামা করতে পারেন না। এই সমস্যা নিয়ে তিনি কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের যে চিকিৎসকের কাছে অ্যাওটিক ভালভ প্রতিস্থাপন করেছিলেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা যায় উনার অ্যাওটিক ভালভ পুনরায় সরু হয়ে গেছে। আর সেই কারণেই তিনি হাঁটলে শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন।

রোগীর স্বজনরা জানান, এ রোগের চিকিৎসা হিসেবে পূর্বের চিকিৎসক আবারও তাকে বুক কেটে অ্যাওটিক ভালভ প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগী আর দ্বিতীয়বারের মতো বুক কেটে অ্যাওটিক ভালভ প্রতিস্থাপন করতে রাজি নন। পরবর্তীতে তিনি দেশে এবং বিদেশে বুক না কেটে বিকল্প চিকিৎসা সন্ধান করতে থাকেন এবং প্রতিবেশীর পরামর্শে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকারের অধীনে ভর্তি হন। পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে টিএভিআর পদ্ধতিতে বুক না কেটে গত ১৭ এপ্রিল সফলভাবে অপারেশন সম্পন্ন করেন।

ডা. প্রদীপ কুমার বলেন, সাধারণত হার্টে বুক কেটে টিস্যু অ্যাওটিক প্রতিস্থাপন করলে ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেই এটি আবার তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। এমনকি বেশিরভাগ রোগী পরবর্তীতে দ্বিতীয়বারের মতো বুক কেটে ভালভ প্রতিস্থাপনের জন্য রাজি হন না। আর যারা সামর্থ্যবান তারা দেশের বাইরে অনেক টাকা খরচ করে টিএভিআর পদ্ধতিতে বুক না কেটে এই অপারেশন করে আসেন।

জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার টিএভিআর পদ্ধতিতে বুক না কেটে দীর্ঘদিন যাবত সফলতার সঙ্গে তুলনামূলক কম খরচে এই অপারেশন করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের এই অপারেশনের পথিকৃৎ এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীর টিএভিআর সাফল্যজনকভাবে অপারেশন করেছেন।

বুক না কেটে, বুকের হাড় না কেটে এই পদ্ধতিতে অ্যাওটিক ভালভ প্রতিস্থাপনে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। এই সময় রোগীকে অজ্ঞান করতে হয় না। এমনকি, রোগী তিন দিন পরেই হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে যেতে পারে এবং সাত দিনের মধ্যে কাজে যোগ দিতে পারে। এই সুবিধার কারণে সারাবিশ্বে টিএভিআর পদ্ধতিতে বুক না কেটে অ্যাওটিক ভালভ প্রতিস্থাপন শুরু হয়েছে এবং জনপ্রিয়তা পাচ্ছেI

29Jun

Our strength Proper Business in your Path

There are full service engage company is to provide solution for employees needs training manage the entire HR department for companies. We offer comprehensive employment services such as assistance